• সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
শুধু ছানামুখীই নয়, তোজ রুটিও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার ভালুকায় প্রাইভেটকার লরি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৪ চুয়াডাঙ্গা হারাল এক সাহসী সন্তান, জাতি হারাল এক অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ অবৈধ পাথর-বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা—সিলেটে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান চৌদ্দগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৩৯ বছরে পদার্পণে আনন্দ ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়ার্দার ছেলুন-এর মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শোক স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন ভালুকা উপজেলা হবিরবাড়ী বাড়ি গ্রামে সাংবাদিক শেখ রায়হান চৌধুরী কে গালাগালি করার ঘটনায় বিশ্বের আলো টিভির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ

বাংলাদেশের যেসব খাতে সহযোগিতা করবে চীন

Reporter Name / ৪৬ Time View
Update : সোমবার, ২ জুন, ২০২৫

বাংলাদেশের যেসব খাতে সহযোগিতা করবে চীনমোঃ ইলিয়াস সরকার বিশেষ প্রতিনিধি, বিশ্বের আলো টিভি

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস ও চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। ছবি : সংগৃহীতবাংলাদেশে সফররত চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও বলেছেন, কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মাছ ধরাসহ গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও ব্যবসায় সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত।রোববার (১ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব বলেণ তিনি। ঢাকায় চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্মেলনে চীনা ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের বড় একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ওয়েনতাও।চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘যেসব চীনা কোম্পানি আমার সঙ্গে এসেছে তারা খুবই উৎসাহিত। আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। এসব কোম্পানি আমাকে বলেছে, আপনার উদ্যোগ দেখে তারা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ভোক্তাবাদ প্রসঙ্গে চীনা মন্ত্রী জানান, রাত ১০টার পরও বিপণিবিতানে ক্রেতাদের উপস্থিতি তাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এখনো বিপুল সম্ভাবনা অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে, বিশেষ করে কৃষি এবং গভীর সমুদ্র ও নদীভিত্তিক মাছ চাষে। চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকেই একটি উৎপাদন ইউনিটে রূপান্তর করা সম্ভব।এ প্রসঙ্গে চীনা মন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে আগ্রহী যে কৃষির কোন কোন খাতে পূর্ণ মাত্রায় সহযোগিতা সম্ভব। চাষের জমি উন্নয়ন, পানি সংরক্ষণ ও আধুনিক চারা রোপণ প্রযুক্তির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমার দৃষ্টিতে কৃষি শুধুই একটি শিল্প নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সংগঠনের রূপ।মাছ ও সামুদ্রিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে ওয়েতাও চীনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চেয়ে তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার প্রযুক্তিতে চীন বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।চীনা মন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূসের পাট খাত পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য তাকে আকৃষ্ট করেছে।তিনি বলেন, চীন প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলারের পাট আমদানি করে, যা বাংলাদেশের মোট পাট রপ্তানির প্রায় ১০ শতাংশ। গবেষণা ও পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে পারলে এর পরিমাণ বহুগুণ বাড়তে পারে। আপনার বক্তব্যের পরপরই চীনা পাট ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের পাট পণ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করবে।ওয়াং ওয়েনতাও বলেন, আমাদের সহযোগিতা কেবল ব্যবসায় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। গবেষণাতেও যৌথভাবে কাজ করা উচিত। যদি বাংলাদেশ এই গবেষণায় অংশ নেয়, তাহলে পাট চীনের জন্য একটি উপযুক্ত পণ্য হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পাটপণ্য ডিজাইনাররা চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারেন।তিনি চীনা মন্ত্রীর এই আন্তরিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানের প্রশংসা করেন এবং চীনকে বাংলাদেশের পাশে বন্ধুর মতো থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।অধ্যাপক ইউনূস চীনা মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনার কথা আমার কানে সংগীতের মতো শোনায়।তিনি চীনা মন্ত্রীর উষ্ণ ভাষণ এবং বড় সংখ্যক চীনা বিনিয়োগকারী নিয়ে আসার জন্য সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আজ আপনার ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এত বেশি বিনিয়োগকারী এসেছেন, যা আমাদের জন্য একটি ভালো বার্তা। পুরো জাতি এটি লক্ষ করেছে।ড. ইউনূস তার সাম্প্রতিক চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, সেখানে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য ও ব্যবসা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। আমাদের সফরের সময় অনেক আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। আপনার সফর এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category