দূর্গাপুরে বীর উত্তম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদা পালন মোঃ গোলজার হোসেন হীরা বিশেষ প্রতিনিধি ঃ পুঠিয়া – দূর্গাপুরের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব মোঃ আবু বাক্কার সিদ্দিক ভাইয়ের পক্ষ থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, আলোচনা ও সর্বস্তরের মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। গত (শুক্রবার) ৩১ শে মে, রাত ৮ টার সময় দূর্গাপুর থানার গেটে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের মহানায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এই সালের এই দিন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। আজ শুক্রবার বাঙালির এই ক্ষণজন্মা পুরুষের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকী। স্বাধীনতা উত্তর এবং পরবর্তী সময়ে দেশ ও জাতির চরম ক্রান্তিকালে যার আবির্ভাব হয়েছিল ত্রাণকর্তা রূপে। ১৯৭১ সালে জাতির চরম সংকট ও ক্রান্তিকালে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলো। তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি মেজর জিয়াউর রহমান অসীম সাহসিকতা আর নিখাত দেশপ্রেম বলিয়ান হয়ে জাতির সামনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আর্বিভূত হন। ২৫ মার্চ কাল রাতে ‘উই রিভোল্ট’ বলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। পর দিন ২৬ মার্চ প্রথমে প্রহরে বাঙালি জাতি ইথারের মাধ্যমে প্রথমবারের মত তাদের এই মহানায়কের কন্ঠ শুনতে পেয়েছিল। সেদিন ইথারের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেদিন তিনি নিজে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থেমে থাকেননি, নিজের ও পরিবারের জীবনকে বিপদের মধ্যে ফেলে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজে অস্ত্র কাঁধে নিয়ে রণাঙ্গণে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন।উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, দূর্গাপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রনজু। ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য সচিব গোলাম মুর্শেদ শিবলি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: জাহিদ, মো মোজাফফর হোসেন, শামসুল আলম, মো: সাদেকুল ইসলাম সানা, মো; মফিজ উদ্দিন সহকারী অধ্যাপক, মো: জব্বার সাবেক মেম্বার, মো: আবুল হোসেন মো: এনতাজ আলী , মো: মারুফ ইসলাম । এছাড়াও জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দগন উপস্থিত ছিলেন।