ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং স্বজন প্রীতি।
বিশ্বের আলো টিভি। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:আজহার হোসেন।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে গরিব অসহায় রোগীদের ভোগান্তি শেষ নেই। রোগীদের টিকেট কাটা থেকে শুরু করে প্রতিটা কাউন্টারে মানবতার সেবার কোনো বালাই নেই।
প্রতিবন্ধী, বীর মুক্তিযোদ্ধা,৭০- ৯০-অনূর্ধ্ব বয়স্ক নর নারীদের জন্য কোন প্রকার সুযোগ সুবিধার বিন্দুমাত্র নেই। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি সহ পরীক্ষা নিরীক্ষা বিনা পয়সায় সুযোগ নেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ।
চোখের ছানি রোগীদের অপারেশন করার পর থাকা বা বিশ্রামে কোন ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন অজুহাতে বিনা পয়সায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয় এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা পয়সায় চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে চিকিৎসা পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
আজ ((১৮ ই মে ২০২৫ ইং) রবিবার সকাল আটটা হতে দশটা পর্যন্ত বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরে ঘুরে দেখা গেল দূর-দূরান্ত থেকে আসা অসহায় চক্ষু রোগীদের ভোগান্তির দৃশ্য। অসহায় গরিব লোকদের কাছ থেকে আনসারা চোখের ছানি অপারেশন করার পর বকশিসের নামে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে।
এমন এমন কতগুলি কাউন্টারের স্টাফ আছেন যারা অসহায় রোগীদের প্রতি চরমভাবে অসহযোগিতা করে থাকেন।গ্রামাঞ্চল থেকে আসা অসহায় রোগীদের ভোগান্তি চরমে ফেলে তাদের প্রতি নানা ভাবে অসৎ আচরণ করে থাকে।মফস্বল হইতে আসা রোগীদের সাথে আলাপ করে জানা গেল জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউ হাসপাতালের কর্মচারীদের আচরণ খুবই দুঃখজনক।
রোগীরা কোন প্রকার সহযোগিতা পায় না নার্স এবং স্টাফদের কাছ থেকে। দূর দূরান্ত থেকে আসার রোগীদের চোখ চোখ অপারেশন করার পর সিটের কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বললে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন স্টাফ নার্স সহ অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সেবা নিতে আসা অসহায় রোগীরা বলেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের উচিত অপারেশন করার পর রোগীদের বিশ্রাম এবং থাকার ব্যবস্থা করা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিন্তু তা না করে হাসপাতালের আশেপাশে কোন হোটেলে থাকার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে আসা রোগীরা দুঃখ করে বলেন মাসের পর মাস হাসপাতালে আসা যাওয়ায় প্রচুর টাকা খরচ হয়ে যায় তারপরও সুচিকিৎসা পাইনা।
ডাক্তাররা ওষুধ লিখে দিলে ও অনেক ঔষধ নাই বলে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাছাড়া হাসপাতালের খাবারের মান খুব নিম্নমানের।