• সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গা হারাল এক সাহসী সন্তান, জাতি হারাল এক অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ অবৈধ পাথর-বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা—সিলেটে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান চৌদ্দগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৩৯ বছরে পদার্পণে আনন্দ ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়ার্দার ছেলুন-এর মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শোক স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন ভালুকা উপজেলা হবিরবাড়ী বাড়ি গ্রামে সাংবাদিক শেখ রায়হান চৌধুরী কে গালাগালি করার ঘটনায় বিশ্বের আলো টিভির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ আজকে আমি এখানে বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ের সচিব নয়, বরং পাশের গ্রামের এক সাধারণ দরিদ্র পরিবারের সন্তান – ডঃ মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন আরএমপি ডিবির অভিযানে চোরাই অটোরিকশাসহ এক আসামি গ্রেপ্তার রাষ্ট্রীয় সম্মান ছাড়াই দাফন হলো বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ

কেন সাম্যকে খুন করা হয়েছিল জানাল ডিএমপি

Reporter Name / ৬৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

কেন সাম্যকে খুন করা হয়েছিল জানাল ডিএমপিমোঃ ইলিয়াস সরকার বিশেষ প্রতিনিধি: বিশ্বের আলো টিভি প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি : সংগৃহীতবন্ধুদের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফুড কার্টে খেতে গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। সে সময় উদ্যানের চিহ্নিত মাদক কারবারিদের হাতে ছিল আত্মরক্ষার্থে ব্যবহার করা ট্রেজার গান বা ইলেকট্রিক গাড়ি। সেটি দেখতে চাওয়ায় সাম্যর সঙ্গে মাদক কারবারিদের এক গ্রুপের বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাম্যকে সুইচ গিয়ার দিয়ে তার রানে আঘাত করে রাব্বি নামে এক মাদক ব্যবসায়ী।মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।তিনি জানান, এ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। এ নিয়ে সাম্য হত্যার ঘটনায় মোট ১১ জন গ্রেপ্তার হলো।ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে খুন হন সাম্য। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনার রাতেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনাস্থলে সরাসরি উপস্থিত ও হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের শনাক্ত করা হয়৷ আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কক্সবাজার, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় ডিবির একাধিক দল ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে এই সংক্রান্ত আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করে।নতুন করে গ্রেপ্তার আটজন হলেন- রাব্বী, মেহেদী, পাভেল, রিপন, সোহাগ, রবিন, হৃদয় ও সুজন সরদার। গ্রেপ্তার মেহেদীর দেখানো মতে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিন নেতার মাজারের সন্নিকটে মাটিচাপা দিয়ে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি সুইস গিয়ার চাকু উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে দুজন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সাম্য এবং তার দুই বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মূলত মাদক ব্যবসার একটি চক্র আছে। মেহেদী সেই চক্রের মূল হোতা। তার গ্রুপের একজন রাব্বীর হাতে একটি ট্রেজার গান ছিল। সে ট্রেজার গানটি দেখে সাম্য সেটি কি জানতে চায়। জানতে চাওয়ার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীর অন্য যারা আছে তারা ঘটনাস্থলে আসে এবং ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডে আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, ওই মাদক কারবারিদের একজন সদস্য রাব্বী তাৎক্ষণিকভাবে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে।আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক ফুডকোর্ট আছে। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত খাবার পাওয়া যায়। আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, সাম্য এবং তার দুই সহপাঠী খাবারের জন্য সেখানে যায়। খাবারের জন্য গেলে ট্রেজার গানটি দেখে সাম্যের সন্দেহ হয়। জিনিসটা কি সেটি দেখার জন্য এবং সেটি নিতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি ঘটে। তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান আছে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে এখন পর্যন্ত আমরা পেয়েছি৷ এর নেপথ্যে আর কোনো ঘটনা আছে কি না, অন্য কোনো বিষয় আছে কি না সেটি নিবিড়ভাবে দেখা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবারিদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করা। একটি গ্রুপ তিন নেতার মাজারের ওখানে, একটি মাঝখানে, একটি ছবির হাটে। তিনটি গ্রিপ তিনটি গ্রুপ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। একটি গ্রুপের দায়িত্বে আছে মেহেদী। যে আটজন গ্রেপ্তার হয়েছে সবাই মেহেদীর গ্রুপের। সে ওই গ্রুপের দলনেতা। মেহেদী মূলত সুইস গিয়ারগুলো সাপ্লাই দিয়ে থাকে৷ ঘটনার দিন একটি কালো ব্যাগে করে মেহেদী সুইস গিয়ারগুলো আনে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের কাছে সরবরাহ করে।এ হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনার মূল আসামি আমাদের রিমান্ডে এলে হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভটি বের করার চেষ্টা করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category